Dr.M.S.Kamal

  বীর্য বিশ্লেষণ: একটি বিস্তৃত ওভারভিউ ১. বীর্য বিশ্লেষণে ভূমিকা বীর্য বিশ্লেষণ একটি ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা, যা বীর্যের মধ্যে শুক্রাণুর মান এবং পরিমাণ মূল্যায়ন করতে করা হয়। এটি প্রধানত পুরুষদের উর্বরতার সম্ভাবনা নির্ধারণ, ভ্যাসেকটমির সাফল্য নিরীক্ষণ এবং অন্তর্নিহিত প্রজনন সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সমস্যার সনাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই বিশ্লেষণে বিভিন্ন প্যারামিটার পরীক্ষা করা হয়, যেমন শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা, আকার এবং বীর্যের আয়তন। ২. উদ্দেশ্য এবং নির্দেশনা বীর্য বিশ্লেষণ বিভিন্ন ক্লিনিকাল উদ্দেশ্যে কাজ করে: বাঁঝত্ব মূল্যায়ন: পুরুষদের মধ্যে বাঁঝত্বের কারণ সনাক্ত করা। ভ্যাসেকটমির পরে নিশ্চিতকরণ: প্রক্রিয়ার পরে শুক্রাণুর অনুপস্থিতি নিশ্চিত করা। প্রজনন স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: সংক্রমণ, হরমোনের অসামঞ্জস্য বা শারীরিক সমস্যাগুলো সনাক্ত করা। ৩. নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়া সঠিক ফলাফলের জন্য সঠিকভাবে নমুনা সংগ্রহ প্রয়োজন: সংযমের সময়: যৌন সম্পর্ক থেকে ২–৭ দিন বিরতি নেওয়ার পর নমুনা দেওয়া সুপারিশ করা হয়। সংগ্রহের পদ্ধতি: একটি জীবাণুমুক্ত পাত্রে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা সর্বাধ...

  Semen Analysis: A Comprehensive Overview 1. Introduction to Semen Analysis Semen analysis is a diagnostic test performed to evaluate the quality and quantity of sperm within a semen sample. It is primarily used to assess male fertility potential, monitor the success of a vasectomy, and diagnose underlying reproductive health issues. The analysis examines various parameters, including sperm count, motility, morphology, and semen volume. 2. Purpose and Indications Semen analysis serves multiple clinical purposes: Infertility evaluation: To identify male factors contributing to infertility. Post-vasectomy confirmation: To ensure the absence of sperm after the procedure. Reproductive health assessment: To detect infections, hormonal imbalances, or anatomical issues. 3. Sample Collection Process Accurate results depend on proper sample collection: Abstinence period: 2–7 days of sexual abstinence is recommended. Collection method: Masturbation into a sterile container is the prefe...

The discussion of individuals who attempted to find faults in the Quran but were ultimately defeated throughout history highlights the inerrancy and truth of the Quran. Both in the past and the present, many have tried to criticize the Quran and Islam, but over time their arguments have been disproven, and their defeat has been evident. In this article, we will discuss prominent figures from both the past and present who tried to find flaws in the Quran but were ultimately defeated. Each individual's critique will be analyzed with historical references to show how their attempts were disproven. 1. Edward Gibbon Edward Gibbon was an English historian who, in his famous work "The Decline and Fall of the Roman Empire" (1776-1788), criticized Islam and the Quran. He described the Quran as a human creation and viewed Islam as a political movement. Gibbon criticized the penal laws of the Quran and the moral aspects of Islam. However, after his critiques, Muslim scholars dis...

কলায় আছে শরীরের  সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়  ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান।  চলুন জেনে নেই,   কী কী কারণে  আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য  তালিকায় কলা রাখা উচিত- ১.পুষ্টিতে ভরপুরঃ কলায় পটাসিয়াম, ভিটামিন সি,  ভিটামিন বি৬ এবং ডায়েটারি  ফাইবারসহ প্রয়োজনীয়  পুষ্টিগুণ রয়েছে।  ২.পটাসিয়ামের উৎসঃ হৃদপিণ্ড ও পেশীর কার্যকারিতা  এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্টাসিয়ামের  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে যা  কলাতে পাওয়া যায়। ৩.শক্তিবৃদ্ধিঃ গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং  সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক  শর্করা রয়েছে কলায়। ৪.কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণঃ কলা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের  পাশাপাশি পরিপাক স্বাস্থ্য  ভালো রাখে। ৫.দ্রুত হজমঃ যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে,  তাদের জন্য কার্যকর সমাধান  হতে পারে কলা।  ৬.হৃদপিণ্ডের সুস্বাস্থ্যঃ নিয়মিত কলা খেলে  হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি  কমে যায়। ৭.ওজন নিয়ন্ত্রণঃ বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য দৈনন্দিন  খাদ্য তালিকায় কলা রাখুন। ৮.মন ও মেজাজ ভালো  রাখেঃ কলা মানসিক চাপ  কমিয়ে মন ও মেজাজ...

The question of the creation of Allah is not limited solely to Islamic religious belief; it is also a subject of discussion in philosophy, philosophical theories, and logic. In Islamic thought, Allah is considered the eternal, uncreated, and self-sufficient being who is above everything. This concept is deeply embedded in Islamic philosophy. However, it has also been discussed extensively in ancient and modern philosophical thoughts. In this article, I will analyze the concept of Allah’s uncreated nature by exploring various philosophical theories. 1. Aristotle's "First Cause" Theory The ancient Greek philosopher Aristotle introduced the "First Cause" theory in his Metaphysics . According to Aristotle, everything in the world and the universe happens through some cause. However, if every event had a cause, there would eventually be an infinite chain of causes, leading to no conclusion, which is illogical. To resolve this issue, he proposed the idea of a "...

আল্লাহর সৃষ্টির প্রশ্নটি একান্তই ইসলামী ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি দর্শন, দার্শনিক তত্ত্ব এবং যুক্তির আলোচনারও বিষয়। আল্লাহ নিজে সৃষ্ট নয়, তিনি অমর, অস্থির এবং সবকিছুর উপরে অবস্থান করেন। ইসলামি দর্শন অনুযায়ী, আল্লাহ একমাত্র সত্তা, যাকে সৃষ্টির প্রয়োজন নেই, কারণ তিনি পরিপূর্ণ, আত্মনির্ভরশীল, এবং তার অস্তিত্ব একান্তই স্বতঃসিদ্ধ। এই ধারণাটি ইসলামী ভাবনায় এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, তবে এটি প্রাচীন এবং আধুনিক দার্শনিক চিন্তাধারায়ও বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে। এই প্রবন্ধে আমি আল্লাহর সৃষ্টিহীনতার ধারণাকে বিশ্লেষণ করার জন্য বিভিন্ন দার্শনিকের তত্ত্ব তুলে ধরব। ১. আরিস্টটলের "প্রথম কারণ" তত্ত্ব প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক আরিস্টটল তাঁর মেটাফিজিক্স গ্রন্থে "প্রথম কারণ" বা "প্রাথমিক সৃষ্টিকর্তা" তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তার মতে, পৃথিবীতে এবং পুরো বিশ্বজগতের সব কিছু কিছু না কিছু কারণের মাধ্যমে ঘটে। কিন্তু যদি এই কারণগুলির একটি অবিরাম (infinite) চক্র থাকে, তবে এর কোনো শেষ হবে না, যা অসঙ্গত। এই সমস্যার সমাধান হিসাবে তিনি একটি "প্রথম কারণ" বা "অপ্রয়োজনীয়...

সর্বশক্তিমান আল্লাহর সৃষ্টির প্রশ্নটি যেকোনো দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকেই অসঙ্গত, কারণ আল্লাহকে সৃষ্টিকারী বা সৃষ্টির কারণ হিসেবে ধরা যায় না। ইসলামিক দর্শনের বাইরে, বিভিন্ন প্রাচীন দার্শনিকদের তত্ত্ব এবং আধুনিক দার্শনিক চিন্তাধারা থেকেও আল্লাহর সৃষ্টির ধারণাটি খণ্ডিত হতে পারে। এখানে আমি কিছু বিশেষ দার্শনিক তত্ত্বের মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টির অসম্ভবতা ব্যাখ্যা করবো। ১. আরিস্টটলের "প্রথম কারণ" (First Cause) তত্ত্ব : প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক আরিস্টটল তার "মেটাফিজিক্স" -এ "প্রথম কারণ" তত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন। তাঁর মতে, পৃথিবীতে এবং বিশ্বজগতের সব কিছুই কোনো না কোনো কারণ বা সৃষ্টিকর্তার মাধ্যমে ঘটে। কিন্তু এই কারণের একটা সীমা থাকা উচিত, কারণ যদি প্রত্যেক কিছুতেই কারণ থাকে, তবে একসময় এই কারণের একটি অবিরাম (infinite) চক্র হবে, যা কোনো সমাপ্তি পাবে না—এটা অসঙ্গত। আরিস্টটল বলছেন যে, এই অবিরাম চক্রের একটি প্রাথমিক শুরু থাকতে হবে, একটি স্রষ্টা বা “প্রথম কারণ” যাকে কোন কিছু সৃষ্টি করতে হয় না এবং যিনি নিজে থেকে অস্তিত্বশীল। এটা এমনভাবে বোঝানো হয় যে, এই "প্রথম কারণ" ...