মায়ের শেষ ডাক




নাট্যরূপ: "শেষ সিদ্ধান্ত"

পাত্রপাত্রী:

  • রায়হান: একজন তরুণ, সদ্য চাকরি পেয়েছে।

  • মা: রায়হানের মা, হঠাৎ অসুস্থ।

  • ডা. সুমনা: অভিজ্ঞ নারী চিকিৎসক।

  • সাথী: রায়হানের ছোট বোন।


দৃশ্য ১: (রাত, ঘরের মধ্যে। মা বিছানায় শুয়ে আছেন। মুখে কষ্টের ছাপ।)

মা: (কষ্টে) বুকে যেন পাথর চাপা দিছে…
সাথী: ভাইয়া, মা আবার বুকের ব্যথা বলতেছে।
রায়হান: (মোবাইলে তাকিয়ে) গ্যাস্ট্রিক হইতে পারে। আগের বারও এমনি হইছিল… ওষুধ দেই?

মা: না রে... এইবার যেন অন্যরকম লাগতেছে...
সাথী: ভাইয়া, আমি বলি, চলো হাসপাতালে…

রায়হান: (দ্বিধায়) রাত তো অনেক হইছে… দেখি সকালে নিই…


দৃশ্য ২: (পরদিন সকাল। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি রুম)

ডা. সুমনা: (সিরিয়াস ভঙ্গিতে) উনি হৃৎপিণ্ডে স্ট্রোক করেছিলেন। সময়মতো আনলে হয়তো বাঁচানো যেত।

রায়হান: (অস্থির) না… আমি তো ভাবছিলাম গ্যাস্ট্রিক… আগের বারও…
সাথী: ভাইয়া… (চোখে জল)

ডা. সুমনা: দেরির মূল্য দিতে হয় প্রাণ দিয়ে। বুকের ব্যথাকে কখনো হালকা করে দেখবেন না।


দৃশ্য ৩: (ঘরে ফিরে, মা'র ছবি সামনে রেখে)

রায়হান: (চোখে জল) শুধু একটু আগে নিলে… শুধু একটু সাহস দেখালে…
সাথী: মা আমাদের বিশ্বাস করত… এখন আমরাই তাঁর বিশ্বাস ভেঙে দিলাম…

(আলো ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যায়)


শেষোক্ত বার্তা (Narrator's voice-over):
"বুকের ব্যথা মানেই সবসময় গ্যাস্ট্রিক নয়। প্রতিটি সিদ্ধান্ত হতে পারে বাঁচার শেষ সুযোগ। চিকিৎসা হোক সময়মতো, সঠিক জায়গায়।"



Comments

Popular posts from this blog

ডাক্তারি—স্বপ্ন না আত্মত্যাগ?

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫: “জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত”

কাটাছেঁড়া ছাড়াই কিডনি পাথর ভাঙতে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি (ESWL)