ঈদে মিলাদুন্নবী: ইসলামের আলোকিত পথের সূচনা

 ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হন, যা মুসলিমদের জন্য এক বিশেষ উৎসব। শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। সৃষ্টির সেরা মানব, বিশ্ব নবীর আগমনের দিনটি কতটা মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ তা সহজেই বোঝা যায়। আজকের এই দিনে মহানবী (সঃ) আল্লাহ’র প্রতি বিশ্বাস ও মানবতার পথপ্রদর্শক হিসেবে এই ধরাধামে আগমন করেছিলেন। আল্লাহ তাঁকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন। মানবজাতি এই দিনে ইহকাল ও পরকালের মুক্তির পথ পায়। 


হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর আগমন ছিল মানবজাতির জন্য এক বিস্ময়কর ঘটনা। তাঁর মাধ্যমে মানুষ অত্যাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক বৈষম্য, এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের অন্ধকার যুগ থেকে মুক্তির আলোকিত পথ খুঁজে পায়। তাই তিনি মানবতার মুক্তির পথপ্রদর্শক হয়েছেন।


মহানবী (সঃ) ছিলেন মানবজাতির জন্য এক অতুলনীয় আদর্শ। তাঁর সততা, মহানুভবতা, ধৈর্য, সাহসিকতা এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাসের মাধ্যমে তিনি ইসলামের বাণী প্রচার করেছেন এবং সমাজে বিদ্যমান সকল অনাচার দূর করেছেন। তাঁর আগমনের সময়ের সমাজ ছিল কুসংস্কার, অন্যায় ও অশান্তিতে ভরা। তিনি এসে আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়ে সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিশেষত, অবহেলিত, নির্যাতিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি তাঁর দয়া, ক্ষমাশীলতা এবং নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা অতুলনীয়। 


আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন আমরা মহানবী (সঃ) এর শিক্ষা ও আদর্শকে আমাদের জীবনে প্রতিফলিত করতে পারি। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর এই দিনে আমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।


আমি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও সালাম জানাই।


আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

Comments

Popular posts from this blog

ডাক্তারি—স্বপ্ন না আত্মত্যাগ?

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫: “জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত”

কাটাছেঁড়া ছাড়াই কিডনি পাথর ভাঙতে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি (ESWL)