কিডনির মোট ও পৃথক কর্মক্ষমতা: ক্রিয়েটিনিন কোথায় সীমাবদ্ধ?
- Get link
- X
- Other Apps
কিডনি আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ (যেমন ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিন) ছাঁকতে সাহায্য করে। সেরাম ক্রিয়েটিনিন হলো রক্তে থাকা ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা, যা মূলত পেশী থেকে উৎপন্ন হয়। যখন কিডনির ফিল্টার করার ক্ষমতা কমে যায়, তখন রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই সেরাম ক্রিয়েটিনিনের মান কিডনির মোট কার্যক্ষমতার একটি সাধারণ সূচক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
তবে, সেরাম ক্রিয়েটিনিন কেবল মোট কার্যক্ষমতা নির্দেশ করে। এটি বলে দেয় মোট কিডনি কতটা কার্যকর, কিন্তু কোন কিডনি কতটা কাজ করছে তা আলাদা করে জানা যায় না। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি কিডনি ভালো কাজ করছে এবং অন্যটি খারাপ, মোট ক্রিয়েটিনিন কিছুটা স্বাভাবিক মনে হতে পারে, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত কিডনির সমস্যাকে এটি ধরতে পারবে না।
দুই কিডনির পৃথক কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে হলে বিশেষ ধরনের ইমেজিং বা স্ক্যানের প্রয়োজন হয়, যেমন:
ডাইনামিক রেনাল স্ক্যান (DTPA বা MAG3 স্ক্যান) → আলাদা করে প্রতিটি কিডনির ফাংশন মূল্যায়ন করা যায়।
রেনোগ্রাফি বা অন্যান্য রেডিওলজিকাল টেস্ট → কিডনির আকার ও রক্ত সঞ্চালন সম্পর্কিত তথ্য দেয়।
সংক্ষেপে:
সেরাম ক্রিয়েটিনিন → মোট কিডনি কার্যক্ষমতার ধারণা দেয়।
আলাদা কিডনির কার্যক্ষমতা → শুধুমাত্র স্ক্যান/ইমেজিং দিয়ে জানা সম্ভব।
সাধারণ চেকআপে ক্রিয়েটিনিন জরুরি, তবে জটিল কেসে স্ক্যান অপরিহার্য।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment